Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২১st সেপ্টেম্বর ২০২০

রাঙ্গামাটিতে টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনা ভ্যালিডিটি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত


প্রকাশন তারিখ : 2020-09-21

 

গত ২০-০৯-২০২০ ইং তারিখে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙ্গামাটি অঞ্চলের সহযোগিতায় এবং Establishing National Land Use and Land Degradation Profile Towards Mainstreaming SLM practices in sectors Policies (ENALULDEP/SLM) Project  এর আওতায় দিনব্যাপী টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনা (SLM) ভ্যালিডিটি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙ্গামাটি অঞ্চল কার্যালয়ের সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙ্গামাটি জেলার উপপরিচালক কৃষিবিদ পবন কুমার চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙ্গামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো: ফজলুর রহমান। কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ENALULDEP/SLM প্রকল্পের প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর জালাল উদ্দীন মো: শোয়েব এবং প্রকল্পের ফোকাল পার্সণ ড. রাধেশ্যাম সরকার। কর্মশালার প্রারম্ভে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং প্রকল্পের বিস্তারিত কার্যক্রম ও কর্মপন্থা বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন কৃষিবিদ ড. রাধেশ্যাম সরকার। প্রশিক্ষণ পর্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত বিভিন্ন উপযোগী প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারনা এবং সফল বাস্তবায়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন কৃষিবিদ জালাল উদ্দীন মো: শোয়েব। এ সময় তিনি উচ্চমূল্যের ফসল ড্রাগন ফল, বিলাতি ধনিয়া এবং মাশরুম চাষ, ফল বাগানে সেচের পানি সরবরাহ ও খাওয়ার পানির জন্য সৌর চালিত গভীর নলকুপ স্থাপন, সমন্বিত খামারে মাল্টা ও বাউ কুলের ব্যাগিং প্রযুক্তি, বানিজ্যিকভিত্তিতে ফুলঝাড়–র চাষাবাদ, পাহাড়ী ছড়ায় ক্রস ড্যাম নির্মানের মাধ্যমে সেচের পানির ব্যবস্থাপনা এবং পাহাড়ের ঢালে ও ছড়ার কিনারায় উচ্চ মূল্যের ফসল বাঁশের চাষ বিষয়ক প্রযুক্তিগুলোর কারিগরি দিক নিয়ে আলোচনা করেন। পরবর্তিতে অংশগ্রহনকারীরা এইসব সম্ভাবনাময় প্রযুক্তির সুবিধা, অসুবিধা এবং সংশ্লিষ্ট এলাকায় প্রযুক্তিগুলোর আর্থসামাজিক উপযোগিতা সম্পর্কে তাদের মতামত ও পরামর্শ ব্যক্ত করেন।

 

সভাপতির বক্তব্যে কৃষিবিদ পবন কুমার চাকমা বলেন বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তণ এবং ক্রমবর্ধমান খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির প্রয়াসে অপরিকল্পিত কার্যক্রমের ফলে পাহড়ে ভূমিক্ষয়, ভূমিধ্বসসহ বিভিন্ন পরিবেশ বিপর্যয় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অথচ এ এলাকার উপযোগী বিভিন্ন পরিবেশ বান্ধব কৃষি ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রযুক্তি কার্যকরভাবে তৃণমূল পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা গেলে তা এ এলাকার সামগ্রিক অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ মো: ফজলুর রহমান বলেন সামগ্রিক বিবেচনায় দেশের সমতল এলাকার তুলনায় পার্বত্য এলাকার কৃষি এখনও অনেক পিছিয়ে আছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার আয়তন সমগ্র দেশের প্রায় ১০ ভাগের ১ ভাগ। অনেক সম্ভাবনা থাকালেও বিভিন্ন কারনে এ এলাকার অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। ভূমি ক্ষয়, ভূমি ধ্বস, খরা এ এলাকার জীবনযাত্রাকে বাধাগ্রস্থ করছে। অপরিকল্পিত চাষাবাদ বিশেষ করে জুমচাষ এবং নির্বিচারে প্রাকৃতিক বন ধ্বংসের কারনে ২০১৭ সালের পর থেকে ভূমি ধ্বস নিয়মিত আকার ধারন করেছে। এ সমস্যা উত্তরনে প্রশিক্ষণে আলোচিত টেকসই প্রযুক্তিগুলো সফলভাবে তৃণমূল কৃষক পর্যায়ে পৌছে দেওয়া ও বাস্তবায়নের কোন বিকল্প নেই। তিনি এ লক্ষ্য পূরনে সংশ্লিষ্ট সকলকে সমন্বয় ও সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করার আহব্বান জানান। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় রাঙ্গামাটি অঞ্চলের কৃষি মন্ত্রণালয়াধীন বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার উপজেলা, জেলা ও অঞ্চল পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ, গবেষক, এনজিও প্রতিনিধি ও অন্যান্যরা অংশগ্রহন করেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে সুচিন্তিত মতামত ব্যক্ত করেন।